আমি ভূতের ছবি খুব একটা দেখি না। ভয় পাই এই জন্য যে দেখি না তা না। আসলে ভূতের ছবিতে মানুষ কাঁটা-কাঁটির চিত্র অবলিলায় দেখায়, যা কিনা আমি একদমি সহ্য করতে পারি না।
জীবনে প্রথমবার খুব সামনে থেকে একটি বিভ্যৎস দূর্ঘটানা দেখলাম, যতবারি দূর্ঘটনাটির কথা ভাবছি তখনি বুক কেঁপে উঠছে। আল্লাহ মাফ কর, এমন দূর্ঘটনায় যেন কেউ না পরে। কি বিভ্যৎস!!
অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিস্তান থেকে বাসে উঠি, বাস ফ্লাইওভার দিয়ে ডেমরার দিকে যাবে। বাস যখন ফ্লাইওভার দিয়ে যাত্রাবাড়ির কাছা-কাছি তখন দেখি কিছু লোক জট পাকিয়ে কি যেন একটা দেখছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য উপভোগ করছে বা ফ্লাইওভারের কাজ কিভাবে করছে সেটা দেখছে। আমিও কৌতুহলি হয়ে বাসের সিট ছেড়ে উঠে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাই আর অমনিতে কিছু সময়ের জন্য আমি স্তঃব্ধ হয়ে যাই।
বাসের যেসকল যাত্রি দেখেছে তারাও আমার মতই হতবাগ হয়ে পড়েছে। সবাই নিঃশ্চুপ… আল্লাহ আমাদের মাফ কর। আমি আর কখনই বাইক কেনার ইচ্ছা পোষন করব না।
ফ্লাইওভারের উপরে যেখানে তিনটি রাস্তার সংযোগ স্থান সেখানে বাতির আলো ছিল ব্যাপক। দেখি রাস্তার মাঝখানে একটি ডেড বডি, যার বুকের উপরের অংশ কোথায় আছে দেখা যাচ্ছে না। রক্তে লাল হয়ে গেছে ফ্লাইওভারের পিচ। ছিন্ন-ভিচ্ছিন্ন হয়ে পরে আছে অর্ধেক শরির টা। বডির উপরে অংশ কোথায় যে চলে গেছে তা আমার চোখের সীমানায় ধরা পরে নাই। রাস্তার অন্য পাশে আরো একটি বডি। মরা গেছে না বেঁচে আছে বুঝা যাচ্ছিল না। তবে তার মাথার পাশটায় যে খুব সজোরে আঘাত পেয়েছে তা ঠিক ভাল ভাবেই বুঝা যাচ্ছিল। মাথার নিচেই রক্তের ছাপ।
পরে টিভিতে এবং অনলাইন পত্রিকায় জানতে পেরেছি যে, দুইজন ব্যাক্তিই মারা গেছেন। আর এই দুই ব্যাক্তি আপন দুই ভাই। আল্লাহ এই দুইজনকে বেহস্ত নছিব করুন। আর আল্লাহ যেন আমাদের এইরকম দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। মরন তো সবার ভাগ্যেই আছে, তবে এইরকম মৃত্যু যেন কারো না হয়।
আর আমাদের ভিতর যারা মোটর সাইকেল চালাই, তারা দয়া করে হেলমেট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত গতি দিয়ে গাড়ি চালাবেন না প্লিজ। আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন। আমীন…